ইন্টারভিউতে সফল হওয়ার কিছু সাজেশন । 

ইন্টারভিউতে সফল হওয়ার কিছু সাজেশন ।


নির্দিষ্ট দিনে পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে ভাইভা বোর্ডে উপস্থিত হওয়ার চেষ্টা করুন। ছেলেদের ক্ষেত্রে ফুলহাতা শার্ট এবং প্যান্ট পরে ভাইভা বোর্ডে যাওয়া উচিত। আর মেয়েদেরও পরিপাটি পোশাক পরা উচিত। সবচেয়ে বড় কথা পোশাক হতে হবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, শালীন ও মার্জিত।

উপস্থাপনটা জরুরি

ইন্টারভিউ বোর্ডে ঢোকার সময়ই সম্ভাষণ করুন। প্রবেশের পর অনুমতি নিয়ে আপনার জন্য নির্ধারিত সিটে বসুন। এরপর সেখানকার পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করুন। পরীক্ষায় উপস্থাপনার ওপর পাঁচ নম্বর থাকবে তাই উপস্থাপনা সাবলীল এবং মার্জিত হতে হবে। পরীক্ষার সময় আপনার মধ্যে যেন কোনো ক্লান্তির ছাপ না দেখা যায়, সে ব্যাপারেও সচেতন থাকুন।
যা জানতে হবে
মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্দিষ্ট কোনো সিলেবাস নেই। দেশ ও দেশের বাইরের খোঁজখবর কতটুকু রাখেন, সাধারণ জ্ঞানে আপনি কতটা ভালো, বেসিক কেমন_এ পরীক্ষায় মূলত এ বিষয়গুলোই যাচাই করা হয়। আপনি যদি বিজ্ঞান, বাণিজ্য অথবা মানবিক ব্যাকগ্রাউন্ডের হন তবে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বেসিক ধারণা নিয়ে মৌখিক পরীক্ষায় যান। এ অংশ থেকে ১০ নম্বর দেওয়া হবে। এ ছাড়াও নিজ জেলার আয়তন, জনসংখ্যা, শিক্ষার হার, কী জন্য বিখ্যাত, বিখ্যাত ব্যক্তি ইত্যাদি বিষয়ে ধারণা রাখুন।
চাই আত্মবিশ্বাস
উত্তর জানা না থাকলে বানিয়ে না বলে সরাসরি বলতে হবে, দুঃখিত স্যার, উত্তরটি জানা নেই। প্রশ্ন ভালো করে বুঝেশুনে উত্তর দিতে হবে। স্বাভাবিক স্বরে উত্তর দিন, উঁচু গলায় প্রশ্ন করা হলেও উঁচু গলায় উত্তর দেবেন না। আবেগতাড়িত হয়ে কোনো প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যাবে না। সব প্রশ্নই যে একই মানের হবে এবং সেগুলো আপনার জানা থাকবে, তা নয়। জাতীয় কিংবা আন্তর্জাতিক কোনো ব্যাপারে মতামত জানতে চাওয়া হলে পক্ষপাতিত্ব না করে দুটি দিকই যৌক্তিকভাবে তুলে ধরুন। কোনো বিষয়ে তর্কে জড়িয়ে পড়বেন না। দ্বিমত পোষণ করলে তা জানানোর আগে বিনয়ের সঙ্গে 'মাফ করবেন' বা 'কিছু মনে করবেন না' বলে নিন। প্রশ্নকর্তা ইংরেজিতে প্রশ্ন করলে ইংরেজিতে উত্তর দিতে হবে। বাংলায় করলে বাংলায়। আঞ্চলিক টান বাদ দিয়ে শুদ্ধ উচ্চারণে উত্তর দিতে চেষ্টা করুন। অনেক সময় প্রশ্নের পিঠে প্রশ্ন ছুড়ে প্রার্থীকে বিচলিত করার চেষ্টা করা হয়। এ সময় বিচলিত না হয়ে নিজেকে শান্ত রাখুন এবং যৌক্তিক উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করুন।
ঘাবড়ে গেলেন তো হেরে গেলেন
মৌখিক পরীক্ষার নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই। বেশি সময় ধরে প্রশ্নকর্তারা প্রশ্ন করলে ঘাবড়াবেন না; বরং এতে ধরে নিতে হবে, তাঁরা আপনাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন এবং চাকরির জন্য যোগ্য মনে করেই যাচাই করছেন। যতটুকু সম্ভব নিজের ওপর
আস্থা রাখুন।
অনেক সহজে সবকিছু মনে রাখার ইচ্ছে আমাদের সবারই আছে । কিন্তু জানিনা কিভাবে তা সম্ভব । আসুন, জেনে নিই ।
আমাদের মস্তিস্ক এক বিচিত্র তথা জটিল কারখানা । এবং এর কাজ করার ক্ষমতা অপরিসীম । একে কাজে লাগাতে হ'লে আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে । খুব সহজ; তবে নিয়মিত চর্চার প্রয়োজন রয়েছে ।
আমরা আমাদের মস্তিস্কের অতি সামান্য অংশই মাত্র ব্যবহার করে থাকি । শতকরা হিসেবে মাত্র ৫% থেকে ৭% । বিশ্বের বড় বড় বিজ্ঞানী তথা মেধাবী ব্যক্তিগণ সর্বোচ্চ ১৫% থেকে ১৮% মস্তিস্ককে কাজে লাগাতে পেরেছেন । বাকি বিশাল অংশ অলস বসে থাকে । এই বিশাল অলস মস্তিস্ককে কাজে লাগাতে পারলে মানুষ কি অসাধ্যই না সাধন করতে পারবে; একবার ভেবে দেখুন ।